নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বাগেরহাট জেলা একটি অনন্য পর্যটন গন্তব্য।প্রাচীন ঐতিহ্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এ জেলা,যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মনে বিশেষ আকর্ষণ সৃষ্টি করে।
সুলতানি আমলের স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর জন্য বিখ্যাত বাগেরহাটের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ হচ্ছে ষাট গম্বুজ মসজিদ। ইউনেস্কো স্বীকৃত এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটটি খান জাহান আলী নির্মাণ করেছিলেন পনেরো শতকে।এর গম্বুজ, খিলান ও কারুকার্য আজও মানুষকে মোহিত করে।এর পাশেই রয়েছে তাঁর সমাধি ও সুন্দর খাল,যা খানজাহান আলী দিঘি নামে পরিচিত।
বাগেরহাট জেলার আরেকটি গর্বের স্থান সুন্দরবন। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এই জেলার একটি অংশ জুড়ে বিস্তৃত।বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য, রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং নানা প্রজাতির পাখি ও গাছপালার কারণে এটি প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য এক স্বর্গভূমি।
জেলার মংলা বন্দর পর্যটকদের আরেকটি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।এখান থেকে সহজেই সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, হারবাড়িয়া বা করমজল অভয়ারণ্য ঘুরে দেখা যায়।
ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপত্য যেমন নয় গম্বুজ মসজিদ, সিংগাইর মসজিদ, চুনাখোলা মসজিদ,বড়বাগ মঠ,প্রতিটি স্থানেই রয়েছে ইতিহাসের ছোঁয়া।এছাড়া, ফকিরহাটের আড়পাঙ্গাশিয়া জমিদার বাড়ি কিংবা রামপালের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও পর্যটকদের আকৃষ্ট করে।
বাগেরহাট শুধু ইতিহাস নয়, এটি একসাথে প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষা-চেতনার মিলনমঞ্চ। এমন একটি জেলা পর্যটন উন্নয়নের যথার্থ সম্ভাবনা ধারণ করে। দেশের মানুষের উচিত নিজ দেশের এই মূল্যবান ঐতিহ্যকে আরও গভীরভাবে জানা ও উপলব্ধি করা।