নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সারা দেশে চলছে তীব্র তাপদাহ।কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলেছে। দিনের বেলা রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা,হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া,পানিশূন্যতা ও হিটস্ট্রোকের রোগী।বিশেষ করে শিশু,বৃদ্ধ ও শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সঠিক খাবার ও পানি পান নিশ্চিত করতে। দিনে কমপক্ষে আট থেকে দশ গ্লাস পানি পান করা উচিত,সঙ্গে তরমুজ,ডাবের পানি, লেবু শরবত,শসা ও সহজপাচ্য খাবার খাওয়া ভালো।অতিরিক্ত ঝাল,ভাজাপোড়া ও ফাস্টফুড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
গরমে হালকা সুতি জামা পরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্র,বারবার পানি পান করানো,ঘেমে গেলে জামা পাল্টে দেওয়া এবং রোদ থেকে দূরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্রামের দিক থেকেও বাড়তি সতর্কতা দরকার।রাতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো দরকার আর দুপুরে এক ঘণ্টার হালকা বিশ্রাম শরীরকে সতেজ রাখে।দিনে দুই থেকে তিনবার গোসল করা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তবে রোদ থেকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে গোসল করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসকরা বলছেন,দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রোদে বের না হওয়াই ভালো। প্রয়োজনে ছাতা,ক্যাপ, সানগ্লাস এবং পানির বোতল সঙ্গে রাখা উচিত।গরমে অসতর্ক হলে শরীরের লবণ ও পানি দ্রুত কমে গিয়ে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়, যা জীবনঘাতীও হতে পারে।
সরকারি পর্যায় থেকে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণা চললেও ব্যক্তি উদ্যোগে সতর্ক না হলে এই গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।