- নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা দিন দিন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। প্রতিবছর গড়ে ১৭-১৮ হাজার মানুষ এইভাবে প্রাণ হারায়, যার বড় অংশই শিশু। বিশেষ করে ১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ এখন পানিতে ডোবা।এই হার বর্ষা মৌসুমে আরও বেড়ে যায়।
গ্রামাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি বাড়ির পাশে থাকে পুকুর, ডোবা বা খাল। অভিভাবকদের সামান্য অসতর্কতায় শিশুরা অজান্তেই সেসব পানির উৎসে গিয়ে পড়ে, আর ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। অনেক সময় ছোট শিশুরা খেলার ছলে কিংবা স্নান করতে গিয়ে আর ফিরে আসে না। শহরেও আবাসিক এলাকায় খোলা ড্রেন, নির্মাণাধীন ভবনের পানিভর্তি গর্ত বা সুইমিংপুল হয়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের মৃত্যু রোধে প্রয়োজন পারিবারিক ও সামাজিক সচেতনতা। শিশুর বয়স তিন পেরুলেই ধাপে ধাপে সাঁতার শেখানো যেতে পারে। বাড়ির আশপাশে যেসব পানির জায়গা রয়েছে, সেগুলো ঘিরে রাখা দরকার। প্রয়োজনে বাঁশের বেড়া বা নেট দিয়ে পুকুর ঘেরা যেতে পারে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক সাঁতার প্রশিক্ষণ, স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা ক্যাম্পেইন এবং গণমাধ্যমে নিয়মিত প্রচার চালানোর কথাও বলছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। অনেকে মনে করছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমেই ‘জীবন রক্ষা শিক্ষা’ যুক্ত করা উচিত।
এছাড়া, যদি কোনো শিশু হঠাৎ পানিতে পড়ে যায়, তাহলে কীভাবে তাকে দ্রুত উদ্ধার করতে হবে এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে,তা সকলের জানা থাকা জরুরি।
দেশজুড়ে এই বিষয়টি নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া জরুরী।