নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সুন্দরবন, শুধু বাংলাদেশের গর্বই নয়, এটি বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং একটি জীবন্ত বিস্ময়। সম্প্রতি সুন্দরবনে একটি গবেষণা অভিযানে পাওয়া গেছে নতুন প্রজাতির একটি কীট এবং বিরল প্রজাতির একটি বন্যপ্রাণীর চিত্র, যা বিশ্ব পরিবেশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ৭ দিনের এই গবেষণায় অংশ নেয় দেশের ও আন্তর্জাতিক পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানান, সুন্দরবনের পশ্চিমাঞ্চলে ক্যামেরা ট্র্যাপে ধরা পড়েছে একটি ‘ফিশিং ক্যাট’-এর ছবি, যা গত ৫ বছরে এই এলাকায় দেখা যায়নি। এছাড়া, গবেষকরা নতুন একটি পতঙ্গ প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন, যা এর আগে এশিয়ায় কোথাও রেকর্ড করা হয়নি।
সুন্দরবনের একাধিক এলাকায় চিত্রিত হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ ও নানা প্রজাতির পাখি, যা প্রমাণ করে বনটি এখনো প্রাণে পরিপূর্ণ।
পরিবেশ রক্ষায় জনগণের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
পরিবেশবিদরা মনে করছেন, স্থানীয় জনগণ ও বন বিভাগের সমন্বিত সচেতনতা কার্যক্রমের ফলে বনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।
“সুন্দরবন শুধু বন নয়, এটি আমাদের জীবনের ফুসফুস,” বলেন খ্যাতনামা পরিবেশ গবেষক ড. শাহান আরা।
পর্যটনের সুযোগ, কিন্তু দায়িত্বশীলভাবে
বন বিভাগ জানিয়েছে, পর্যটন বাড়লেও পরিবেশ সংরক্ষণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে যাতে তারা প্লাস্টিক ব্যবহার না করেন এবং নির্দিষ্ট রুটেই ঘুরে দেখেন।
সুন্দরবনের এই সাফল্য বাংলাদেশের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক দুর্লভ প্রাকৃতিক উত্তরাধিকার