নিজস্ব প্রতিবেদকঃদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা খুলনা। শিল্প ও নদীবন্দর ছাড়াও এই জেলা পর্যটনের জন্যও সমৃদ্ধ। জেলার প্রতিটি উপজেলা ছড়িয়ে আছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যে, যা স্থানীয় ও বাইরের ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
খুলনা জেলা সদরেই অবস্থিত করমজল পর্যটন কেন্দ্র সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এই স্থানটি দাকোপ উপজেলার অন্তর্গত হলেও জেলা সদর থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে। এখানে রয়েছে হরিণ, কুমির, বানরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ এবং ম্যানগ্রোভ বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগের ব্যবস্থা।
বটিয়াঘাটা উপজেলায় রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনের ব্যবস্থা। এই এলাকাগুলোর পরিবেশ মনোমুগ্ধকর এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শহীদ হাদিস পার্ক শহরের ইতিহাসের এক স্মারক, যেখানে প্রতিদিনই মানুষের আনাগোনা থাকে।
রূপসা নদী খুলনার প্রাণ। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখা যায় জাহাজ চলাচল, মাছ ধরা ও সূর্যাস্তের সৌন্দর্য। রূপসা সেতু থেকে দেখা যায় নদীর অপার বিস্তার, যা দর্শনার্থীদের মনে প্রশান্তি আনে।
পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলা খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল। এখানকার বিস্তীর্ণ খাল, নদী, চিংড়ির ঘের এবং গ্রামীণ প্রাকৃতিক দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়।সোলাদানা বাজার, বাইনপাসা চর প্রভৃতি স্থানেও রয়েছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য।
তবে খুলনা জেলার অন্যতম পর্যটন স্পট হিসেবে করমজল ও দাকোপ এলাকার অংশবিশেষ সুন্দরবনের কারণে বিশেষভাবে পরিচিত। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে যদি আরও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো গড়ে ওঠে, তবে খুলনা জেলা বাংলাদেশের পর্যটন মানচিত্রে আরও উজ্জ্বল স্থান করে নিতে পারে।