Homeজাতীয়ঘূর্ণিঝড় বা দুর্যোগে সতর্ক সংকেত: জীবন বাঁচাতে সময়োপযোগী বার্তা

ঘূর্ণিঝড় বা দুর্যোগে সতর্ক সংকেত: জীবন বাঁচাতে সময়োপযোগী বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার সময় সতর্ক সংকেত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা। সময় মতো সঠিক সংকেত পৌঁছে দেওয়া গেলে অনেক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি রোধ করা সম্ভব।

সতর্ক সংকেত হলো আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জনগণকে সম্ভাব্য বিপদের বিষয়ে জানিয়ে প্রস্তুত থাকার একটি সরকারি ঘোষণা। এটি একটি পূর্বাভাসমূলক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে সবাইকে সাবধান করে তোলা হয়।

বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাধারণত বিভিন্ন ধাপে সংকেত দেওয়া হয়ে থাকে। ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের মাধ্যমে জানানো হয় যে ঘূর্ণিঝড় সাগরে সৃষ্টি হয়েছে, তবে ততটা বিপজ্জনক নয়। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বোঝায় যে ঝড় উপকূলের দিকে এগোচ্ছে, এবং হালকা প্রস্তুতির সময় এসেছে। ৪ থেকে ৭ নম্বর সংকেতের মানে হলো ঝড়ের তীব্রতা বাড়ছে, এবং ব্যাপক প্রস্তুতি জরুরি। ৮ থেকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয় যখন ঝড় খুব কাছাকাছি চলে আসে এবং তা প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

সতর্ক সংকেত প্রচারের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করা হয়। মাইকিং, সাইরেন, টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইল ফোনের এসএমএস, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সরকারি অ্যাপের মাধ্যমে এই বার্তাগুলো দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেক সময় স্থানীয় প্রশাসন ঘরে ঘরে গিয়েও মানুষকে সচেতন করে।

সতর্ক সংকেতের গুরুত্ব অনেক সময় মানুষ বুঝতে পারে না কিংবা অবহেলা করে। এতে করে প্রাণহানির আশঙ্কা বেড়ে যায়। সংকেতকে গুরুত্ব দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া, নিকটবর্তী নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া, এবং শিশু-বৃদ্ধদের আগে সুরক্ষিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন।

সতর্ক সংকেত মানে ভয় পাওয়ার কিছু নয়। বরং এটি একটি প্রস্তুতির সময়। সঠিক সময়ে প্রস্তুতি নিলে বিপদ আসলেও ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা যায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments